Dhaka ০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
  • ৫৭২ Time View
“ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে”

মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রোপা আমন ধান, সবজী, বীজতলা, পানের বরজ, কলাগাছ ও পেঁপের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়েছে। অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ও ঘরের উপর গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে। অনেক গাছ রাস্তার উপর উপড়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জমিতে পানি বদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জমির ধানগাছ হেলে গেছে। এতে রোপা আমন ধানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে সবজী ক্ষেতের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। তবে ঘের বা পুকুরে পানি বৃদ্ধি পেলেও কোন ক্ষতি হয়নি বলে মাৎস্য চাষিরা জানিয়েছে। অনেক ঘরবাড়ী এখনো জলবদ্ধতায় রয়েছে। যদিও রাস্তার উপর উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না আসার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাতে ২৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ২০ হেক্টর ক্ষেতের সবজী, ১ হেক্টর জমির বীজতলা, ৫ হেক্টর পানের বরজ, ২ হেক্টর জমির কলাগাছ ও ১ হেক্টর ক্ষেতের পেঁপের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিকে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা সুলতানা জানান, ঘূণিঝড়ে ৭২টি বাড়ি-ঘর কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে ১২টি কাঁচা ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার দত্ত বলেন, সিত্রাং এর আঘাতে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন গাছের ডাল ভেঙ্গে গেছে। বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতিকনা দাস বলেন, নিন্মচাপের ফলে নদী-খালে পানি বৃদ্ধি পেলেও ও অবিরাম বৃষ্টি হলেও কোন ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়নি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে”

Update Time : ০৫:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
“ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে”

মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট –
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে রোপা আমন ধান, সবজী, বীজতলা, পানের বরজ, কলাগাছ ও পেঁপের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়েছে। অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ও ঘরের উপর গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে। অনেক গাছ রাস্তার উপর উপড়ে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জমিতে পানি বদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জমির ধানগাছ হেলে গেছে। এতে রোপা আমন ধানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে সবজী ক্ষেতের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। তবে ঘের বা পুকুরে পানি বৃদ্ধি পেলেও কোন ক্ষতি হয়নি বলে মাৎস্য চাষিরা জানিয়েছে। অনেক ঘরবাড়ী এখনো জলবদ্ধতায় রয়েছে। যদিও রাস্তার উপর উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না আসার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাতে ২৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ২০ হেক্টর ক্ষেতের সবজী, ১ হেক্টর জমির বীজতলা, ৫ হেক্টর পানের বরজ, ২ হেক্টর জমির কলাগাছ ও ১ হেক্টর ক্ষেতের পেঁপের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিকে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাঈদা দিলরুবা সুলতানা জানান, ঘূণিঝড়ে ৭২টি বাড়ি-ঘর কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে ১২টি কাঁচা ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার দত্ত বলেন, সিত্রাং এর আঘাতে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন গাছের ডাল ভেঙ্গে গেছে। বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতিকনা দাস বলেন, নিন্মচাপের ফলে নদী-খালে পানি বৃদ্ধি পেলেও ও অবিরাম বৃষ্টি হলেও কোন ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়নি।